[এই লেখাটি, আমার বন্ধু তন্ময়কে উৎসর্গ করলাম।]
বন্ধু, তোমাকে
লিখব ভেবেছি অনেকদিন;
পৌষ গেলো, বেরঙিন
বসন্ত, এখন গ্রীষ্ম অমলিন।
গল্প শুরু, বছর
দশ আগে, কালটা অজানা;
আজকের এক
প্রাণহীন শহরে পাইনি ঠিকানা।
শত মানুষের ভিড়ে,
কখনও হয়ত চলে গেছি পাশ কেটে;
ছিল একই জ্বলন্ত
দড়ি, তবু ভিন্ন সিগারেট, দুই ঠোঁটে।
যখন তোমার ঘুম ভাঙ্গত,
সেই শেষ ট্রামের শব্দ;
গভীর রাতের এক
যাত্রী আজও আছে, ট্রামেই কারারুদ্ধ।
হতেও পারে বই
পাড়াতে, পুরানো বইএর গন্ধে,
একই বই দু’হাত
হয়েছে, বইওয়ালা আর লেখকের দ্বন্দে।
ছিল হয়ত একই
প্রতিবাদ, একই ভুল, একই পদস্খলন;
তবু ঘুরে আমাদের
দাঁড়াতেই হত, মিছিল বা রাতের নিওন।
কিমবা হয়ত
কালিকাতে দাঁড়িয়ে ছিলাম পাশ ফিরে,
একটা অচেনা মুখ
“দেখি” বললে, গিয়েছি একটু সরে।
তোমার কথা জানি
না বন্ধু, যদি আমার কথাই বলি,
প্রথম প্রেম
যায়নি ভোলা, সেই চুম্বন, সেই অলিগলি।
বইমেলাতে, বই এর
ফাঁকে, একই শ্রেয়সী গার্গী নজরে;
তুমি ডায়ে, আমি
বাঁয়ে, কিছু তীক্ষ্ণ শব্দ দিয়েছি ছুঁড়ে।
কেটে গেলো
এইভাবেই কয়েকবছর, শহরের মায়াজ্বর।
কিছুকাল
অতিবাহিত, অঞ্জন-সুমন গাইল, “অনেকদিন পর।“
পাড়ি দিলে তুমি
এক রুক্ষ শহরে, কিছু উচ্চাশার খোঁজ;
রয়ে গেলাম,সাথে হারানো
স্বপ্ন, বোকা হওয়ার খোরপোষ।
দুঃখ নেই, নেই
অভিমান, থাকবেই বা কেন বল?
অজান্তে এক অচেনা
বন্ধুত্বের মূল্য যে ছিল আনা ষোলো।
শুরু নতুন জীবন,
শেষ হল অন্বেষণ, মগ্ন অনুরাগে;
দাম্পত্যের জটিল
মানে, তুমি বুঝে নিলে আগে ভাগে।
থাক মধুর ইতিহাস,
এবার আসি আমাদের আলাপ পর্বে;
এতক্ষণ যা
লিখলাম,সে মনের দেখা, বন্ধুত্বের অনুভবে।
মানুষ নাকি
সামাজিক জীব,ভাবলাম,একটু সামাজিক হয়ে দেখি;
পেলাম নিজেকে অসামাজিক,
কিন্তু সামাজিকতাও তো মেকি!
বড় দ্বন্দ্ব যে
বুঝতে! সামাজিকতায় কি ঠিক বেঠিক;
বলতে দ্বিধা
নেই,প্রথম আলাপ, তীব্র রাজনৈতিক।
সে এক বড় ভয়াবহ
কাল, বলতে পারো ভূতের ভবিষ্যৎ;
ভূত মানুষের
মাথায় ছিল, নাম পরিবর্তন, Shortcut.
রয়ে গেলো, ঘাত প্রতিঘাত, দৈনিক আড্ডা, হাসির রোল,
কিছু বরফ, এক বিশ্বস্ত তৃতীয় বন্ধু, নামটি ছোটো, Alcohol.
দেখেছো? ভুলেই গেছি! আসল কথাটাই হয়নি বলা এতক্ষণ!
বন্ধু, বন্ধু কেবল বন্ধুই থাকে, একটা নির্ভেজাল স্বচ্ছ চেতনা;
শেষ দরজায় কড়া নাড়লেও,নিশ্চিত, সেটা তোমার ঠিকানা।
No comments:
Post a Comment