With Myself

With Myself
"কত কি করার আছে বাকি "

Tuesday, July 21, 2015

Bengali translation of some parts of Savage Garden's "To The Moon And Back"

মানবনীতির দোরগোড়ায় পৌঁছানোর ম্যাপ পকেটে নেই।

প্রিয়তম, চিন্তা কোরো না-
এক ডুবসাঁতারে পার হয়ে যাব আমরা সারাটা পথ।
শুধু আকাশের গায়ে, সহস্র তারায় তোমার আশাকে বাঁচিয়ে রেখ।

এ শুধু রোমাঞ্চকর স্বপ্ন নয় !

তোমাকে নিয়ে চন্দ্রাভিযানে যাব, প্রিয়তম;
যেখানে আমরা, আমরা হয়ে বাঁচব।
আসা যাওয়ার দুটো টিকিট আছে।

         - গাবলু

Monday, July 20, 2015

তিরিশ বছর পুরোনো সুরা আছে,
তিরিশ বছর জীবনের কোনো বন্ধু নেই।
দামী কলম আছে, দায়িত্বশীল কথা নেই।
পাশ বালিশ আজও আছে, পাশ ফিরে শোওয়া নেই।
মানুষের গন্ধ আছে, কিন্ত আমার দেশ নেই।

ফিরবো ভাবলে ফেরা যায়!
কেবল শব্দ আসতে বছর দুই লাগে।

Tuesday, August 20, 2013

সহজাত মানব





হে মানব, আমি সহজ হতে চেয়েছিলাম।

এঁদোগলির মধ্যরাত, পদস্খলিত মদ্যপ মন;
পকেট শূন্য যৌনতা, নিঃস্পৃহ ৬৯-এর হরমোন।

হে মানব, আমি আরও সহজ হতে চেয়েছিলাম।

বিভ্রান্ত লক্ষ্য, অভ্রান্ত ক্লেশ, মানবজীবন অযৌক্তিক বেশ,
ক্ষণজন্মার পরজন্ম আসন্ন, বিদীর্ণ গর্ভের অক্লান্ত রেশ;

হে মানব, আমি শুধু সহজ হতে চেয়েছিলাম।

Saturday, August 17, 2013

আলাপী মেয়ের গোলাপী আকাশ





কাল খুব বৃষ্টি হয়েছে শুনলাম তোমার দেশে, ঠিক সন্ধ্যে নামার আগে;

বৃষ্টি শেষে, তোমার গোলাপী আকাশের ছবি দেখতে ভারী অদ্ভুত লাগে!


আলাপী মেয়ে, তোমার গোলাপী আকাশ!
মেঘের গায়ে ঘুড়িটার রঙ কি ছিল?
লক্ষ্য করনি তো?
জানি আমি।


মানি আমি, সেই বৃষ্টির নিস্তব্ধতাকে;
যতদূর চোখ গেছে, খুঁজেছ তাকে;
বোবা মন, প্রবাসী কাকের বিস্মিত ক্ষণ,

ভেজা জানলায় ডাক দিয়ে যায় সুদূর প্রেমিকের গ্রামাফোন। 

Monday, August 12, 2013

এক মা ও তার ভূমিপুত্র


যেদিকে দুই চোখ যায়, দেখি সবুজ মিশেছে গাড় ধূসর আকাশে।
আমার চোখের জল বন্দক রাখা ছিল তোমার কাছে, নির্মলা, কথা রাখনি;
সুযোগ বুঝে, মধ্যমার লীন তাপে বিলীন করেছো নোনতা বাষ্প,
তাই আজ বৃষ্টি হয়ে ঝরে এক প্রকৃত প্রত্যন্ত দেশে, আমার লাল মাটিতে।

কবে আবার পাড়ি দিয়েছ সেই ট্রেন এ? দিনের প্রথম এবং শেষ ট্রেন;
কালো ধোঁয়া উড়িয়ে, আক্রান্ত সিংহের মত গর্জে ছুটে চলে সেই ট্রেন।
লাল কাদা মেখে, সবুজের কানে যাত্রীদের ইতিহাস ফিসফিস করে বলে;
সেই ট্রেন!  শুধু সুখিয়াকে আজ খুঁজে পাইনা আর, ও নাকি এখন বর্বর।

বছর দশ আগে, এমনি এক বর্ষা ছিল নির্মলা; হ্যাঁ, বললাম তো, অন্য বর্ষা।
সেই ট্রেন! তোমার আমার শরীরের ঘামে, বদ্ধ কুপ ছিল আংশিক আর্দ্র।
সম্পূর্ণ আর্দ্রতা গোপন রাখতে হয় সভ্য মানুষের কাছে, লাল মাটির কাছে নয়।
পীড়িত মাংসপেশিতে রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক হল যখন, দেখি, তোমার ঠোঁট তৃপ্ত।
ট্রেনের জানলার বাইরে হাত বাড়িয়ে কেড়ে আনলাম এক মুঠো বৃষ্টির জল;
চোখ মেলনি তখনও, সিক্ত তর্জনী ছোঁয়ালাম তোমার বুকের মাঝে, কেঁপে উঠলে;

ট্রেনও ব্রেক কষল হঠাৎ! সবুজের মাঝে, কিছু খুদে ছুটে এলো জানলায়,
আলগা কাপড় ঠিক করলে তুমি। তোমার সারা মুখে এক মাতৃত্বের আভা;
সেই মুহূর্তে তুমি আমার কাছে কৃতজ্ঞ ছিলে নির্মলা, অস্বীকার করতে পারবে?
খুদেদের মুঠো ভরা পাহাড়ি ফল, শালপাতা জড়ানো, এক টাকায় এক মুঠো।
সাত-আট বছরের অর্ধনগ্ন ছেলেটাকে তুমিই জিজ্ঞাসা করেছিলে  তার নাম।
ভয় মুখ করে বলেছিল, “সুখিয়া।“; দুই টাকার ফল বেচে অদৃশ্য হয়ে গেছিল জঙ্গলে।

তুমি মা হতে পারনি নির্মলা; ছেড়েছ দেশ, ছেড়েছ আমাকে, আমার লাল মাটিকে।
হাজার মাইল দূরে, তোমার বাৎসল্যকে সবুজ রাখার তাগিদে, আজও খুঁজে বেড়াই;
খুঁজে বেড়াই সুখিয়াকে। কিন্তু এক মুঠো ফল নিয়ে আর ছুটে আসে না সেই খুদে;
সুখিয়া আজ কিশোর, এই লাল মাটির ভূমিপুত্র; শুনেছি, ওর মুঠোতে এখন বন্দুক।

Tuesday, August 6, 2013

চাঁদ আর ঋতু


তোমার কুয়োর জলে, আমার চাঁদকে লুকিয়ে রেখেছিল যে কবি,
তার তথ্য তিস্তাকূলের মেঘপিওনের হাতে পাঠিয়ে দিয়েছি অনেকদিন।
এই পিওনকে আগে দেখেও দেখিনি, বিশ্বাস কর!
মিষ্টি শিউলির গন্ধে, এক ভোরের কুয়াশায় ঋতু বলে গেলো তার কথা;
আমার ঋতু বড়ই বৈচিত্র্যময়ী, চিরকালের কালশিটে বিনোদিনী সে।
তারপর জানি না, মনে নেই কবে, সেই কবিই নিল অজ্ঞাতবাস;
হয়ত Antrim এর উপকূলে, অগ্ন্যুৎপাতের যুগে,
ঋতু সাঁঝবাতি হাতে সাগরের  জলে খুঁজে বেড়াত আমার চাঁদ।
হ্যাঁ, আমার চাঁদ! যার পূর্ণতায় আজ ঋতুর স্বেচ্ছা কারাবাস।
পৌঁছে যাব একদিন আমার চাঁদের কাছে, ফিরে যেতে চাই;
পথনির্দেশিকায়, ঋতুর ফেলে আসা টুকরো টুকরো পরিচয়।

Sunday, April 28, 2013

বন্ধু, আমি অল্প হলেও সত্যি


দুই বন্ধুর বেড়ে ওঠা অনেক তফাতে;
তবে ছিল একই শৈশব, একই বই, একই খেলা,
দুই মায়ের একই স্বপ্ন; আমরা একই মধ্যবিত্ত।

জীবনকে নিয়ে মস্করা আমরা দুজনেই করেছি।
তুমি জীবনকে ভালোবেসে, চারপাশকে মেনে নিয়ে;
আমি নিজেকে ভালোবেসে, মানতে বাধ্য হয়েছে চারপাশ।
মানুষের মনরঞ্জনে আড়াল করেছ নিজের চাপা দুঃখ;
আমি হতাশা চেপে রাখিনি, চিৎকার করেছি,
লিখেছি কেবল নিজের কথা, নিজের দুঃখ।
উজাড় করেছি অন্তর্নিহিত কিছু দ্ব্যর্থক আবেগ;
মানুষের সহানুভূতিকে বড় সস্তা ভেবেছিলাম!

বন্ধু, আমি বন্ধু হয়েই দাঁড়িয়ে ছিলাম।
বন্ধুত্বের খুঁটি পেরিয়ে চালাক কচ্ছপের খেতাব তোমার।
কি ভাবছ? না, তোমার খাতায় কালির দোয়াত ফেলে দেবো না।
এগিয়ে চলার যথার্থ দাবীদার তো তুমিই ছিলে;
আমি যে তোমার মত বেচতে শিখিনি বন্ধু!
তুমি এক সামাজিক সাম্যবাদী জীব। ভুল বললাম?
খুশি রাখতে চেয়েছ সকলকে, এক অবাস্তব দুনিয়ায়।

বন্ধু, আমি আজও খুঁটি পেরতে পারিনি, পারবও না;
আমার যে খুব অল্প আছে, থাকবে,
আমি অল্প হলেও সত্যি!
তাই আর লিখি না।