নারী, এক ধারনা, এক
গভীর রাতের সপ্তাহান্তে
মায়াহীন নিস্পলকে
উদ্বায়ী মরীচিকার কণ্ঠস্বর;
বৃত্তাকার জীবন
পরিধির অল্প বিস্তৃত ক্লান্তিহীন
সরলরেখায় এক
ক্ষণস্থায়ী জলসত্র হল নারী।
নারী, নাড়ি; নারী,
অকারন ভয়; নারী, ঈর্ষা।
কোচিঙের খাতার শেষ
পাতায় আনমনে টানা
কালির আঁচর নারী;
নারী, কৈশোরের দ্বন্দ্ব, চয়নিকা।
যুগের কালগর্ভে শেষ
প্রদীপ হাতে, ছেঁড়া ক্যানভাসে
তুলির টান নারী;
দ্বিতীয়ার চাঁদ নারী, অদ্বিতীয়া।
নারী লজ্জাবতীর
সিস্মোন্যাসটিক চলন, বসন্তে রাধাচূড়া।
স্মৃতির প্রিয় শূন্য
রাস্তাকে আঁকড়ে শুয়ে থাকার
অনুভব কিন্তু নারী;
পৃথিবীর শেষ প্রান্তে একা দাঁড়িয়ে
হিমশীতল উষ্ণতা
নারী; নারী, ঘূর্ণিঝড়ে হারিয়ে
যাওয়া নাবিকের
অন্তিম ইচ্ছা; ঘোর শেষে আশ্রয় নারী।
সব হৃদস্পন্দন
একসাথে অনুরণিত হওয়ার শক্তি নারী।
নারী, ভুলিয়ে দেওয়া
সব যন্ত্রণা, দিন বদলের গান;
তবু আমার নারী, তুমি আজ কবিতাশূন্য।
No comments:
Post a Comment