সৃজা, আজও খুচরো মানুষের হৃদয় থেকে
৮ ঐ অক্টোবর, ২০১১
২০০৪ সালের পর আজ আবার লিখতে বসলাম তোমাকে। সেই "খোলা চিঠি" তুমি পাওনি, জানি। কারন চিঠি টা বাতাসের বুকে উড়িয়ে দিয়েছিলাম। এটাও হয়ত তোমার কাছে পৌঁছবে না। আদেও পৌঁছনো জরুরি কিনা জানি না। কিন্তু লিখতে ইচ্ছে হোল। পৃথিবীর সব চাওয়া পাওয়ার বাইরে যদি মানুষের হৃদয়ের খুব গভীরে কোনও বেঁচে থাকার প্রকৃত কারনের উৎস থাকে, যার কোনও নাম হয় না, তবে সেই উৎসের কোনও সৎ চাহিদাই হয়ত আমাকে গোপনে বলে গেছে এই চিঠি টা লিখতে। আর চিঠি টা লেখার সময় চেষ্টা করব যেন আমার ভাব কোনও ব্যাকরণ না মেনে চলে। জীবনের কিছু অযথা ব্যাকরণ মানতে গিয়ে হয়ত দুজনেই পারস্পরিক দূরত্বকে অন্যায় ভাবে আশকারা দিয়েছি ক্রমশ বাড়তে থাকার। আর আজ দেখ, এত কিছু বলার থাকতেও আমরা কিছুই বলি না, কারন আজ কিছু বলার আগেই হয়ত পর্বতপ্রমান অভিমানের ভারে আমাদের বাকশক্তি ত্বরান্বিত, বিপরীত দিকে।
পৃথিবীর কোন রঙ টা তোমার এখন সব থেকে বেশী ভালো লাগে? যদি সত্যি উত্তর দিতে পারো তবে আমার প্রশ্ন হোল, মানুষের কোন রঙ টা তোমার এখন সবচেয়ে ভালো লাগে? যদি ঠিক রঙের মানুষ পেয়েও থাকো, তার গন্ধের সাথে রঙের সামঞ্জস্য খুঁজে পাও কি? জানো, আমার সব সম্পর্ক গুলোকে আমি এখনও গন্ধ দিয়ে শুধু চিনতে পারি। সবকিছুকে, সবাইকে ভুলে থাকি, মিথ্যা বলব না। কিন্তু যদি ফেলে আসা গন্ধ কখনও কোনোভাবে ফিরে আসে, যেভাবেই আসুক, কোনও নতুন মানুষের মধ্য দিয়ে হোলেও, সেই গন্ধ বাধ্য করে নতুন মানুষকেও ঘৃণা করতে; ঠিক যেভাবে কিছু পুরনো দিন আর মানুষকে আজও ঘৃণা করি। গন্ধ আমার ভালবাসা ও ঘৃণার মধ্যে মধস্ততা করে, নিজ দায়িত্বে, লাগামহীন ভাবে।
আজ ভীষণ ভাবে মনে পড়ছিল, একটা কবিতার খাতার কথা। ২০০৬ সাল পর্যন্ত ওতে অনেক কিছু লিখেছিলাম। তোমার কাছে গোপন রেখেছিলাম, কারন সেই খাতার অনেক অনুগামী ছিল। তাদের সবাইকে ছেড়ে আসার সময়, আমি সেই খাতাটাও জলে ফেলে দিয়েছিলাম। আমার খাতা ভরা কবিতা থাকলেও তুমি কবিতাশূন্য ছিলে, তোমাকে নিয়ে কিছুই লিখিনি। প্রশ্নটা থেকে যায় আমার নিজের কাছে, আমার সত্যি চাহিদা কি ছিল, তুমি না সেই কবিতাগুলো। নাকি তোমরা পরস্পর তোমাদের শূন্যতাকে পুরণ করেছ আমার মগ্নতায়?
তোমার কথা আজ সব থেকে বেশী মনে হয় সেই সময়, যখন চোখ খুলে উপলব্ধি করি যে একটা সকাল ফেলে আসা রাতের মায়ায় ভারাক্রান্ত হলে কতটা ফিকে হোয়ে যায়, যখন গতরাতের অর্ধ মগ্নতা অকারনে নির্লজ্জ ভাবে বইতে থাকে শরীরে মনে, যখন মনে হয় দুজনের মধ্যবর্তী শূন্যতা অনেক ভরাট ছিল আজকের মনের শূন্যতার থেকে। আমি হয়ত অকারন বাক্য ব্যয় করছি।
তুমি ভালো আছো তো? আর তোমার স্মৃতিরা? স্মৃতিকে মসৃণ রেখো, অমলিন রেখো।
শুধু আমাকে ধরে রাখা স্মৃতিগুলো ভুলো।
আজও বলি, ভালো থেকো।
ইতি,
সেই আমি ও আমার পরিচয়
৮ ঐ অক্টোবর, ২০১১
২০০৪ সালের পর আজ আবার লিখতে বসলাম তোমাকে। সেই "খোলা চিঠি" তুমি পাওনি, জানি। কারন চিঠি টা বাতাসের বুকে উড়িয়ে দিয়েছিলাম। এটাও হয়ত তোমার কাছে পৌঁছবে না। আদেও পৌঁছনো জরুরি কিনা জানি না। কিন্তু লিখতে ইচ্ছে হোল। পৃথিবীর সব চাওয়া পাওয়ার বাইরে যদি মানুষের হৃদয়ের খুব গভীরে কোনও বেঁচে থাকার প্রকৃত কারনের উৎস থাকে, যার কোনও নাম হয় না, তবে সেই উৎসের কোনও সৎ চাহিদাই হয়ত আমাকে গোপনে বলে গেছে এই চিঠি টা লিখতে। আর চিঠি টা লেখার সময় চেষ্টা করব যেন আমার ভাব কোনও ব্যাকরণ না মেনে চলে। জীবনের কিছু অযথা ব্যাকরণ মানতে গিয়ে হয়ত দুজনেই পারস্পরিক দূরত্বকে অন্যায় ভাবে আশকারা দিয়েছি ক্রমশ বাড়তে থাকার। আর আজ দেখ, এত কিছু বলার থাকতেও আমরা কিছুই বলি না, কারন আজ কিছু বলার আগেই হয়ত পর্বতপ্রমান অভিমানের ভারে আমাদের বাকশক্তি ত্বরান্বিত, বিপরীত দিকে।
পৃথিবীর কোন রঙ টা তোমার এখন সব থেকে বেশী ভালো লাগে? যদি সত্যি উত্তর দিতে পারো তবে আমার প্রশ্ন হোল, মানুষের কোন রঙ টা তোমার এখন সবচেয়ে ভালো লাগে? যদি ঠিক রঙের মানুষ পেয়েও থাকো, তার গন্ধের সাথে রঙের সামঞ্জস্য খুঁজে পাও কি? জানো, আমার সব সম্পর্ক গুলোকে আমি এখনও গন্ধ দিয়ে শুধু চিনতে পারি। সবকিছুকে, সবাইকে ভুলে থাকি, মিথ্যা বলব না। কিন্তু যদি ফেলে আসা গন্ধ কখনও কোনোভাবে ফিরে আসে, যেভাবেই আসুক, কোনও নতুন মানুষের মধ্য দিয়ে হোলেও, সেই গন্ধ বাধ্য করে নতুন মানুষকেও ঘৃণা করতে; ঠিক যেভাবে কিছু পুরনো দিন আর মানুষকে আজও ঘৃণা করি। গন্ধ আমার ভালবাসা ও ঘৃণার মধ্যে মধস্ততা করে, নিজ দায়িত্বে, লাগামহীন ভাবে।
আজ ভীষণ ভাবে মনে পড়ছিল, একটা কবিতার খাতার কথা। ২০০৬ সাল পর্যন্ত ওতে অনেক কিছু লিখেছিলাম। তোমার কাছে গোপন রেখেছিলাম, কারন সেই খাতার অনেক অনুগামী ছিল। তাদের সবাইকে ছেড়ে আসার সময়, আমি সেই খাতাটাও জলে ফেলে দিয়েছিলাম। আমার খাতা ভরা কবিতা থাকলেও তুমি কবিতাশূন্য ছিলে, তোমাকে নিয়ে কিছুই লিখিনি। প্রশ্নটা থেকে যায় আমার নিজের কাছে, আমার সত্যি চাহিদা কি ছিল, তুমি না সেই কবিতাগুলো। নাকি তোমরা পরস্পর তোমাদের শূন্যতাকে পুরণ করেছ আমার মগ্নতায়?
তোমার কথা আজ সব থেকে বেশী মনে হয় সেই সময়, যখন চোখ খুলে উপলব্ধি করি যে একটা সকাল ফেলে আসা রাতের মায়ায় ভারাক্রান্ত হলে কতটা ফিকে হোয়ে যায়, যখন গতরাতের অর্ধ মগ্নতা অকারনে নির্লজ্জ ভাবে বইতে থাকে শরীরে মনে, যখন মনে হয় দুজনের মধ্যবর্তী শূন্যতা অনেক ভরাট ছিল আজকের মনের শূন্যতার থেকে। আমি হয়ত অকারন বাক্য ব্যয় করছি।
তুমি ভালো আছো তো? আর তোমার স্মৃতিরা? স্মৃতিকে মসৃণ রেখো, অমলিন রেখো।
শুধু আমাকে ধরে রাখা স্মৃতিগুলো ভুলো।
আজও বলি, ভালো থেকো।
ইতি,
সেই আমি ও আমার পরিচয়
No comments:
Post a Comment