রেখেছিলাম একটা নিষ্পাপ কবিতাকে সাক্ষী;
মুঠোয় ছিল সেদিনের সমুদ্রের জল;
হারিয়েছিলাম হুইস্কির নেশার ঝোঁকে সেদিন,
মিথ্যে ফাইলে মিষ্টি চকলেটের ডামাডোল।
কুড়িয়েছিলাম, ফুটপাথ থেকে সেদিন,
বিচ্ছিন্ন স্বপ্নের সাময়িক আস্তানা;
ভাসিয়েছিলাম কথার স্রোতে অনায়াসে,
এলোমেলো যন্ত্রণার বৈষয়িক যাতনা।
কোনও স্মৃতি রাখিনি; শুধু তোকে রেখেছিলাম,
স্মৃতির খোঁজ;
আন্দাজ করেছিলাম তোর থেকে মুক্তি হবে না
সহজ।
তবু ছাড়লাম আজ একটা মিথ্যে অভিপ্রায়;
অসহ্যের সীমার প্রতীক্ষা সহ্য করা দায়।
ফিরাস না আজ সেই নোনা বাতাস,
করেছি প্রেম প্রকাশ,
তবু
তোর মায়ায় নিজেকে ক্রুশবিদ্ধ করব না।
হাজার বছর ধরেও পথ চলে,
প্রতিটি আমি এর অজুহাত বলে,
তোকে ডেকে হাতছানি পোহাবো না।
ভেবেছিলাম, তোর মনের ভেতর আমি,
কুড়িয়ে পাবো একটা মুক্তর নাকাব।
ভুলেছিলাম, সেই আব্রু পাথরের কারাবাস,
নরম পশম আর কীটের অভাব।
ছড়িয়েছিলাম, তবু শুম্ভ- নিশুম্ভের
শয্যাগৃহে অযথা মাস্কারার বৃষ্টি;
তাকিয়ে দেখলাম চারদিকে, সামাজিক
হওয়ার দৌড়, আমি নির্ভেজাল অনাসৃষ্টি।
ফিরিয়ে নিচ্ছি সব কথা, তবু করব না তোকে মাফ;
সময় নষ্ট আমার আর তোর ভেজা মেকি অনুতাপ।
সংজ্ঞা তোর অনেক বোঝার বাকি, করিস না ফালতু
কথাব্যয়;
কথা আগে শুনে বুঝতে শেখ, রাখ উত্তর
অপেক্ষায়।
তাই ছাড়লাম তোকে এই ফুরসতে,
কোনও মতলব নেই কালস্রোতে;
মাটির মেঝেতে পা ফেলতে পারবি না।
তুই যাকে ভেবেছিলি হাতছানি,
সম্পূর্ণ মূল্যহীন, আমি জানি;
ভয় নেই, তোকে নেমেসিস ভাবব না।
No comments:
Post a Comment