এই লেখাটা জেনো, ব্যথা কমানোর অভিপ্রায়
মাত্র।
যখন নিজের কাছে পারি না, তখন লিখি।
ভেবে লেখার সত্যই কি পরিচয় থাকে? কোনও গোত্র?
চেনা শহরে অচেনা আমি বারাবার ফিরে এসে,
কান্নায় শব্দ দূষণ হয় না; শুকনো অশ্রুনালী;
দেখি, সব সম্পর্কগুলো হাসতে থাকে আমার পাশে।
কয়েক লাইন লেখার পর কিছুটা আবশ্যিক সতর্ক;
পাঠকের কাছে বজায় রাখা নিজের মান, লেখার মান;
মাথায় বাধ্যকতার প্রশ্ন, আমিত্বের বিতর্ক।
ফ্রেম ধরে রোজ বানাতে থাকি নিজের ছায়াছবি।
চরিত্রগুলো আমাতেই শুরু, আমাতেই শেষ; তবু
দৃশ্যগ্রহণে রোজ মুছে ফেলি মুহরতের পদবী।
এক একটা দিন নিহত, খারিজ তাদের জামিনের দিন;
অন্ধকারে আরও একটা সিঁড়ি আছে ভেবে পদস্খলন;
ক্লান্ত এই শরীর, মন, ব্যর্থ পলাতক মস্তিষ্কে
বেরঙিন।
মুছে গেছে অমল, দইওয়ালা; তারপর সঙ্গ ছাড়ল
পাগলি;
শঙ্কর থেকে রুপান্তরিত অমিত, কিছুদিন সন্দীপ
হলাম।
এখন দেখি, আমি আমিই আছি; কথার অব্যয়ে দম
ফেলি।
মুছে ফেলি ঝাপসা কাঁচ, একটা শরীরের প্রতিফলন।
কাঁচের ওপর নিজের নাম লিখতে ভুলে যাই।
No comments:
Post a Comment