আলেয়াঃ তুমি নদ নও,
তবু কোথা থেকে এসেছ?
আমিঃ আমি নির্লিপ্ত শিবস্বরূপ পরমাত্মার অংশ নই;
নই কোনও নদীর সাথে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের
দীর্ঘশ্বাস।
আমি যুগের পর যুগ ঢেউখেলানো ঘাসে বয়ে,
মর্মর ধ্বনির সুরে, পাতার শিরার জালে
আটক থেকে,
তোমার হুইস্কির গ্লাসের গায়ে ঘনীভূত
জলকণায় প্রকাশিত।
আলেয়াঃ স্বপ্নের
প্যাকেটগুলো সময়মত মনে করে পোস্ট করেছিলে তো?
স্বপ্নকে কখনও নষ্ট হয়ে যেতে দেখেছো,
চোখের সামনে?
আমিঃ যতবার চেষ্টা করেছি দুটো কথা বলব, স্বপ্ন
আমাকে এড়িয়ে গেছে।
তবে মর্গ থেকে বয়ে এনে দাহ করেছি
স্বপ্নকে,
এই হাতে; হ্যাঁ, এই হাতের ভাগ্যরেখায় স্বপ্নগুলো
সাপ- সিঁড়ি খেলেছে।
আমার লাল গুটিগুলোকে ঘৃণা করেছে
চিরকাল; স্বপ্ন নীল আজ।
ঠিকানা ভুল ছিল, বারবার প্যাকেটগুলো
ফেরত এসেছে।
ওই যে, কে যেন বলেছিল, “স্বপ্ন
বিক্রি আছে!”
আলেয়াঃ তাহলে স্বপ্নকে
কোথায় খুঁজতে গিয়েছিলে? সত্যি বল।
আমিঃ মাছু পিচুর ধারে দাঁড়িয়ে একটা সিগার
জ্বালিয়েছিলাম।
বাল্কান
পর্বতমালায় সারবিয়ান বাঁশি শুনতে শুনতে ওকেই ভেবেছি।
প্যারিসে মুলা রুজের সামনে তখন রাত
একটা, হিমেল বাতাস;
আর মোনালিসার হাসি বদলে দেওয়াও হয়ত একটা
স্বপ্ন ছিল।
চিত্রকূটের ধারে এক বৃদ্ধা যখন সরু
চাকলি বিক্রি করছিল।
আমি স্বপ্নকে কোথাও পাইনি, বিশ্বাস কর।
No comments:
Post a Comment