পাশ ফিরে শুয়ে পর,
দেখ তাকলা মাকান,
কস্তূরী নাভির
ঘ্রাণ, দূরের আজান।
মনে কর সব শিরাগুলি
শহরের অলিগলি,
দূষণ সবার
নিঃশ্বাসে, সাঙ্কেতিক নামাবলী।
কোন গোধূলির মায়া
পেরলি? দেড় কুড়ি পার;
হাতের রেখা, আজব
কথা, গল্প কেশ ঝরার।
কাঁচের স্বর্গ? হায়
দুর্ভাগ্য! পৃথক সবার দায়;
সুদিন চার আনার,
বারো আনা কার ভোগে যায়?
আজ কা অর্জুন,
করেছে বর্জন, আস্ত মেরুদণ্ড;
কত আর খাবি রোজ একই
ঘ্যাঁট, পাঁচমিশালির স্বাদ পণ্ড।
ভরসা আধডুবো আদরের
নৌকো, আহা বালাইষাট!
আর যে সব কোথা ভেসে
গেলো? মার্কেট লোপাট!
ধ্রুবতারা চলে
ট্রেনের সাথে, চোখ মিটমিট করে;
সেলর কবে হারিয়ে
গেছে, টেলর ব্যস্ত বোতাম উদ্ধারে।
কবিতা যদি প্রহসন,
উষ্ণপ্রস্রবণ তোর মন;
মুহূর্ত বেচিস পাগল
রে তুই, মহাকালের পিওন।
জল-বাতাসায় জ্যান্ত
নোট, নেতিয়ে কাগজের বৌ;
বেডরুম, গুড়ুম
গুড়ুম, ভিন্ন আত্মার ভউ ভউ।
বছর শুরু, কালি
নাছোড়বান্দা, কলম ভয়ে ভয়ে কহে;
তাকলা নয়, টাকলা
মাকান; তবে মাকান কামান নহে।
No comments:
Post a Comment