আর ভালো লাগে না, বিশ্বাস কর, আর ভালো লাগে
না
গ্লাসের গায়ে ঘনীভূত জলকণা, অর্ধমগ্নতা,
নিজেকে অহেতুক ঠকানো।
সূচের যন্ত্রণা বিষাক্ত মনের পর্দায়
পূর্ণিমার রাতে;
গাড়ির খোলা জানলা দিয়ে এক রাশ ধূলো এসে
বসে চোখে মুখে, কালো প্লাস্টিকে ঢাকা বস্তির
ছাদগুলো থেকে। ডাস্ট অ্যালারজি বাহানা
মাত্র!
আমরা বেশ অনেকটাই ছেড়ে দিয়েছি ভগবানের ওপর।
আমার যে কুয়োর জলে চাঁদ লুকানো ছিল,
বহুযুগ ভোরের কুয়াশা ঢেকে রেখেছে সেই কুয়ো।
কিমবা কাস্তে হাতে কাটা হেমন্তের শস্য;
ঝলসানো রুটির ভাগ্যহীন ভাগীদার রয়েছে মাত্র,
যারা ছিন্ন মূলে, সভ্যতার শূলে। ফিরিস্তি কে
দেবে?
উত্তর দেবো কাকে? আমার পুরানো কবিতাগুলো?
আমার কবিতায় আমি বহু আমিতে বাঁচি।
কিছু রঙিন শব্দের অযথা অশালীন ঘনঘটা;
নিংড়ানো জৌলুসের জলসা পাঠকের মনে।
তাদের ঠকাতে চাই না, তারা চেনা-অচেনায়
বাঁচুক।
নিজে আজও ঠকি ফিরতে গিয়ে, সব কপাট বন্ধ।
মনের টানাপড়েনে নিজের কাছে সত্যতা যাচাই
করতে ভুলে যাই। কার জন্য বাঁচব?
মানুষ না খ্যাতি?
আমার ছাদে পূর্ণিমার চাঁদ আর আমি, একা।
No comments:
Post a Comment